Category: পূর্ণেন্দু পত্রী

কথোপকথন-৩০

তুমি আমার সর্বনাশ করেছ শুভঙ্কর কিচ্ছু ভাল লাগে না আমার, কিচ্ছু না জ্বলন্ত উনুনে ভিজা কয়লার ধোঁয়া আর শ্বাসকষ্ট ঘিরে ফেলেছে আমার দশ দিগন্ত এখন বৃষ্টি নামলে কানে আসে নদীর…

বিষণ্ণ জাহাজ

আমরা যেখানে বসেছিলাম তার পায়ের তলায় ছিল নদী নদীতে ছিল নৌকা আর দূরে একটা বিষণ্ন জাহাজ। আমি যখন তোমার তুমি যখন আমার ঠোঁটে বুনে দিচ্ছিলে যাবজ্জীবনের সুখ ঠিক সেই সময়ে…

সেই গল্পটা

আমার সেই গল্পটা এখনো শেষ হয়নি। শোনো। পাহাড়টা, আগেই বলেছি ভালোবেসেছিল মেঘকে আর মেঘ কীভাবে শুকনো খটখটে পাহাড়টাকে বানিয়ে তুলেছিল ছাব্বিশ বছরের ছোকরা সে তো আগেই শুনেছো। সেদিন ছিল পাহাড়টার…

মাধবীর জন্যে

আয়নার পাশে একটু অন্ধকার ছায়া এঁকে দাও। ব্যথিত দৃশ্যের পট জুড়ে থাক চিত্রিত আঁধার। দেয়ালের ছবিটাকে একটু সরাতে হবে ভাই। ওটা নয়, এই ছবিটাকে। জুলিয়েট জ্যেৎস্নার ভিতরে রক্তে উচ্চকিত তৃষ্ণা…

কথোপকথন ১৩

-তোমার মধ্যে অনন্তকাল বসবাসের ইচ্ছে, তোমার মধ্যেই জমিজমা ঘরবাড়ি। আপাতত একতলা… হাসছো কেন? বলো হাসছো কেন? -একতলা আমার একবিন্দু পছন্দ নয়, সকাল সন্ধ্যে চাঁদের সাথে গপ্পো গুজব; তেমন উঁচু না…

সোনার মেডেল

বাবুমশাইরা গাঁ গেরাম থেকে ধুলোমাটি ঘসটে ঘসটে আপনাদের কাছে এয়েচি। কি চাকচিকন শহর বানিয়েছেন গো বাবুরা রোদ পড়লে জোছনা লাগলে মনে হয় কাল-কেউটের গা থেকে খসে পড়া রূপোর তৈরি একখান…