এক হৃদস্পন্দন
পাখির ওড়া তোমার কাছে কেমন লাগে? পাখির ওড়াউড়ি ছটফটানি কেমন লাগে তোমার কাছে? উড়েযাওয়া পাখি দেখেছো কখনও তুমি? উড়ে যায় পাখি…! চঞ্চু— গ্রিবা— শরীর টানটান; অথচ— …তখনও ছন্দ ডানায়…! দীপিত…
[Since 2018]
পাখির ওড়া তোমার কাছে কেমন লাগে? পাখির ওড়াউড়ি ছটফটানি কেমন লাগে তোমার কাছে? উড়েযাওয়া পাখি দেখেছো কখনও তুমি? উড়ে যায় পাখি…! চঞ্চু— গ্রিবা— শরীর টানটান; অথচ— …তখনও ছন্দ ডানায়…! দীপিত…
সূর্যাস্তের সময় ওই বিস্ময় রঙে তার মুখ দেখেছি…! কী দারুণ বদলে গেছে হাসি অরূপ রঙের ইশারায়! তারপর বছর বছর তার ছবিতে রঙিন শব্দমালা গেঁথে দিয়েছি! আমি তাবৎ ব্যথার কোরকে— মঞ্জুলে—…
কাছে গেলেই সে ঘ্রাণ শুঁকে শুঁকে বলে দিতো আমার মনের যতো কথা; আমার কথাগুলোর অদ্ভুত রকমের তাৎপর্য করতে পারতো সে; সে আমার লেখা পড়তে পারতো— আমাকে পড়তে পারতো আরো অধিক;…
ভারী আরামের এক রোদ পেয়েছিলাম আজ! শরীরে উষ্ণ উষ্ণ পুষ্প মেখে নিয়েছিলাম; তারপর গিয়ে মগ্ন হ’লাম; হায়, ফিরে এসে দেখি ফিরে গেছে! চ’লে গেছে উজ্জ্বল রোদের স্রোত…! আহা, এতো আদুরে…
কী দারুণ নক্ষত্রের মহাদূরত্বে রয়েছো জ্ব’লে! স্পর্শ থেকে কী ভীষণ ব্যবধান রচনা করেছো! মহাশূন্যের নীলত্বে জ্ব’লছো স্বরূপে মিটিমিটি; কী যে বোধের দহনে ছাই হ’য়ে জমে জমে যাই! ভঙুর করুণ চোখজোড়া…
আমি ধূসর ঊষর মরু হ’য়ে উঠলাম! তুমি মরুদ্যানে সবুজ বৃক্ষ হ’লে না! তুমি তো বালি বক্ষের শীতল স্বচ্ছ জল হ’য়ে উঠলে না! ক্ষতি কী, যদি কন্টকশোভিত ক্যাকটাস কিংবা ফনিমনসা হও!…
পথ গেছে চ’লে; আমি হেঁটে যাই একা; চারদিক থেকে শেষ হয়ে গেলো পথ! মাটিখোঁড়া যন্ত্র মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে নকল পাহাড় বানিয়ে চলে! আমার পথে এইসব প্রতিরোধ!
যেন মহাকালের সময় ধ’রে এসেছি আমি; কোনও তাড়া নেই; মৃদু তোলপাড় অনুভব করি শুধু; আহা, কী দারুণ সময়ের ওপর পড়ে থাকা! ফিরে যাবো — ভুলে আছি;
কোথাও তুমি নেই — আমি নেই… হৃদপিণ্ডবিহীন উঠে আসছি কখনও-বা… অথচ, স্পন্দিত দিনে আমি তোমার চোখে চোখ রাখতেই তুমি কেঁপে কেঁপে উঠতে দারুণ…! এখন তোমার পলল হৃদয়ে শুধুই আড়ষ্টতা! আর…
এভাবেই জ্ব’লে থাকতে হয়— প্রিয় নক্ষত্র ! এভাবেই নিজস্ব নিয়মে জমাতে হয় পাড়ি— প্রিয় নক্ষত্র ! আপন কক্ষপথে এভাবেই যেতে হয় অবারিত সুরে— প্রিয় নক্ষত্র ! অনন্য সৌরভে এভাবেই সমগ্র…