খাঁচার বাঘিনী বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে
তুমি কোথায় হে রিংমাস্টার?
কোথায় ছিলে রাত-ভোর? ভাটিখানায়?
সেয়ানা নটীর সুগন্ধবহ রাঙা দেহ
আর রঙিন জলের মাখামাখি তে প্রচ্ছন্ন ছিলে কি?
নাকি জুয়ার টেবিলে দানের পর দান হেরে
কলকির বাষ্পরথে মিথ্যের বৃন্দাবন দাপালে?
তুমি কি অর্পণ করেছো তোমার কারদানি
অথবা খেলার ছড়ি কোন অসার অনাবশ্যকের তলাহীন টুকরিতে?
নাকি নিরক্ষ মাঠের চাতালে শুয়ে
ব্যর্থতার গল্প শোনাচ্ছো রাতপ্রহরীকে?
তোমার খাঁচার বাঘিনী ক্ষুধাতুরা রাতভর।
তুমি খোরাক দাওনি হে রিংমাস্টার!
সমস্তরাত বিকট শব্দে দাহাড় করে
খাঁচার দেয়ালে দেয়ালে ব্যর্থ আঁচড়ে
বাঘিনী তার অক্ষমতার জানান দিয়েছে।
প্রতিবেশ আতংকিত রেখে
অতঃপর গুটিয়ে পড়েছে নিস্তেজ দেহে তোমার খাঁচাতেই।
দেরি নয় আর দেরি নয়, আলো জ্বলে গেছে,
সূত্রধরের ঘোষণাপাঠ শুনেছে সবাই,
দর্শকের করতালিতে গুঞ্জিত সমস্ত সার্কাস প্যান্ডেল!
কোথায় তুমি হে রিংমাস্টার?
গ্রীনরুমের মেকাপে লুকাও ব্যর্থতার দাগ,
জমকালো পোশাকে মঞ্চে এসে দাড়াও,
ক্ষিপ্ত বাঘিনী ঝাঁপিয়ে পড়বে তবে,
তোমার খেলা যে তোমাকেই খেলতে হবে!