পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে আমি ক্ষমা করে দিলাম আর যে সমস্ত মানুষের অভিযোগ আছে আমার দিকে তার ক্ষমা নিতে চাই না। নিজের ভেতর যে কাঠগড়া আছে তার ওপর দাঁড়াব…
তুমি তোমার চুলের স্বাধীনতার কথা বলছ আর আকাশ জরিপ করে এসে আমি কান দুটোতে গুঁজে নিয়েছি চামচিকা আর বাদুড়ের লতানো ডানা। তোমার চোখের স্বাধীনতা, পায়ের স্বাধীনতা চেয়ে বসে আছ গোঁয়ারের মতো। স্বাধীনতা চেয়েছ নূপুরের, বাঁশির, হাসির। আমি যুদ্ধভাঙ্গা ডাক দিয়ে, এই পৃথিবী থেকে হৃথিবীর দিকে হেঁটে চলে যেতে চাই।
পৃথিবীর বিরাট মুখ। হা করে মুখটা আর বন্ধ করল না, সবাই ঢুকে যাচ্ছে এই বিরাট ‘হা’এর ভেতর। আহা! প্রাণে নেমেছে বাতাসের নামতা, আয়ুর নামতা, স্বাধীনতার নামতা। বাতাস ভাল নেই, আয়ু ভাল নেই, স্বাধীনতা ভাল নেই যন্ত্রণার যাঁতায়।
আর কী কী জিজ্ঞাসা বুনে দিলে এই পৃথিবীতে ফিরে আসতে হবে না? লাল আলো, সবুজ আলো, অন্ধকার আলো জীবনের হাঁটাচলার গহীনেই গুছিয়ে রাখতে চাই। যদি একটা ফুলের বাগান করা যায়, নাকফুল বিক্রি করে সোনার টিয়ে কেনা যায়।