চোখ কচলাতে কচলাতে আমাদের গ্রামে সূর্য ওঠে। হামাগুড়ি দিতে দিতে সবুজ ঘাসে ছড়িয়ে পড়ে তার অগণিত চোখ। শিশিরের জল। সেই সব শুরুর আলাপ। পৃথিবীর ঘুম ভাঙে।
দূর সূর্যের নিকট থেকে ধেয়ে আসে আলোর মিছিল। পাল্টে যায় জীবনের গতিপথ। পাল্টায় না মানুষের রূপ। দুপুর হতে-না-হতে অশ্লীলতা দৌড়ে আসে মনের গভীরে। জেন বয়ানের ফাঁদে পড়ে কাঁদে কবিদের সহোদর। তামাম শহরে বসে মানুষের হাট। মানুষ বিলিন।
সূর্যের আলোতে তারাগুলো মানুষ হয়ে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। তারা ঝিলমিল। মানুষের কোলাহলে বাড়ে পৃথিবীর দৈনিক বয়স। মানুষগুলো রাত নামতেই তারা হয়ে যায়। জমে ওঠে তারা আর মানুষের খেলা। মানুষগুলো মানুষ হতে গিয়ে নীলাকাশে দেয় পাড়ি।
জোনাকিরা চুপচাপ ঘুম গেলে আঁধার কু-ুলি কেটে নামে তামাকের ঘ্রাণ। সুরেলা পাখনাগুলো তীর্থ যাত্রা শেষে উঠোনে জমায় গীতের আসর। বুড়োবুড়িদের হাট বসে ছাদের উঠোনে। রাত-দিন, সকাল-বিকেল, সন্ধ্যা বা সময় সকলই চাতকের মতো খোঁজে মেঘজল। তবু সূর্য ওঠে আর তারাগুলো মানুষের মতো হেঁটে বেড়ায় নোনামাটির জমিনে।