যে সমস্ত সামান্য বেদনার ধার ধেরে ধেরে মানুষের বেড়ে উঠবার সিঁড়ি, তার নানা পাশে পড়ে আছে অবদান আর অবদান… অবদমনের বিরুদ্ধে গড়া লড়াইয়ে মানুষের বলি দেয়া বিভক্ত দেহ-মস্তকাধার…
কোথায় উঠেছি বেড়ে প্রিয় বাংলাদেশ? পোড়ামাটির দেহে তুলে দিয়ে কোটি বছরের সেতিহাস, কোনখানে পেতে দিলাম ম্যাপের ওজন? প্রাণের বদ্বীপ, তুমি আবার বজ্রপাতে ঝলকের আলো দেনে পালাও আবার? দেখনি কি এক রোহিঙ্গা দেবী-শিশুর নরম দাঁতের কামড়ে জেগে আছে করুণ মিয়ানমার? কি সাং লিখেছো জীবনীতে, নিখিল?
আমার জীবন জারণে জ্বলে যায় দূর্বা, ফিরে এসো। এই নতুন পৃথিবীর, যে জন্মেছে এক অতিকাল্পনিক ইতিহাসযোনির উপর; ছিটকে যাবার মতো কেন্দ্রবিমুখী বলহীন গ্রহ এক… সেখানে এমন বৃহত্তম প্রশ্নের জবাব লেখা একার কাজ নয়। এসো ফের যৌথ হই, এই নকল বেঁচে থাকার আর কতো ফটোকপি বিলাবো মুখোসের মানসাঙ্কে?
জিগাই নিজেস্ব নদীর মহাজন, কতো তরঙ্গের আরোহনে আর কতো ভাষার কারুকৗশলে নির্মাণ করো এতো এতো ঢেউ? মানুষ কেবলই প্রতিধ্বনি শোনে, বর্ণমালা, বর্ণমালা…
এই চিৎকার কিনে নেয় কৃত্রিম উপগ্রহ। দারুণ ভিডিওগ্রাফির শিল্পীত প্যানারমায় জীবন ম্যাজিক হয়ে যায়…
লাল মোরগের দেশে কড়া সূর্যমুখী ত্বক নিয়ে বেঁচে যেতে চাই। শেষ ফোঁটায় তবু আমাদের ঘাম থেকে লেখা হোক অবদান। তার যৌথভাগ নেবে কে? তুমি ফিরে চাও…