‘পাখী সব করে রব রাতি পোহাইল
কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল।’

কবেকার পাঠশালায় পড়া মন্ত্রের মতো সেই সুর
সুর নয় স্মৃতির মধুভাণ্ডার
সেই আমার দেশ মাঠ বন নদী
আমার দেশের জারি সারি ভাটিয়ালি মুর্শিদি
আরও কত সুরের সাথে মিশে আছে আমার মায়ের মুখ
আমার মায়ের গাওয়া কত না গানের কলি !

বিন্নী ধানের মাঠের ধারে হঠাৎ কয়েকটি গুলির আওয়াজ…
কয়েকটি পাখির গান শেষ না হতেই তারা ঝরে গেল
পড়ে গেল মাটিতে।
সেই শোকে কালবৈশাখীর ঝড় উঠলো আকাশে
মাঠ কাঁপলো
ঘাট কাঁপলো
বাট কাঁপলো
হাট কাঁপলো
বন কাঁপলো
মন কাঁপলো
ইতিহাস থমকে দাঁড়িয়ে লিখে নিলো সব…

তাই তো সহস্র পাখির কলতানে আজ দিগন্ত মুখর
তাই তো আজ দ্যাখো
এ মিছিলে এসে দাঁড়িয়েছেন আমার মা
যিনি বাংলাভাষায় কথা বলা বড় ভালোবাসেন
কথায় কথায় কথকতা কতো রূপকথা
আর ছড়ার ছন্দে মিষ্টি সুরের ফুল ছড়ান
তিনি এখনো এ মিছিলে গুনগুন করে গাইতে পারেন:
‘পাখী সব করে রব রাতি পোহাইল।
কাননে কুমুম কলি সকলি ফুটিল।।
রাখাল গরুর পাল লয়ে যায় মাঠে।
শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে।।’

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *